পট চিত্রের রকমফের
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, ও বর্ধমান জেলার বিভিন্ন গ্রামে এই পটুয়া-চিত্রকর গোষ্ঠীর বসবাস। তবে মেদিনীপুর ও বীরভূম জেলা ছাড়া অন্যান্য জেলার পটুয়া গোষ্ঠীদের অনেকেই পট আঁকা ছেড়ে দিয়েছেন।বরং তার বদলে ছেলে ভোলানো পুতুল ও বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা নির্মান করা ছাড়াও অনেকে কায়িক পরিশ্রমজনিত কাজের সাথে যুক্ত থেকে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন।
পটের ধরন
পটুয়া-চিত্রকর সম্প্রদায় সাধারণত তিন প্রকারের পট তৈরি করে থাকেন---
1) দেব-মাহাত্ম্য বা সামাজিক নানান ধরনের কাহিনী নিয়ে তৈরি লম্বাটেভাবে জড়ানো পট।
পটুয়া-চিত্রকর সম্প্রদায় সাধারণত তিন প্রকারের পট তৈরি করে থাকেন---
1) দেব-মাহাত্ম্য বা সামাজিক নানান ধরনের কাহিনী নিয়ে তৈরি লম্বাটেভাবে জড়ানো পট।
2)আড়াআড়ি ভাবে তৈরি জড়ানো পট।
3)চৌকো পট।
জড়ানো পট
জড়ানো পট সাধারণত চওড়ায় হয় এক থেকে দেড় হাত এবং লম্বায় প্রায় চার হাত থেকে দশ-বারো হাত।পটের দৈঘ্য বৃদ্ধি হবার জন্য পট দেখানোর সুবিধার্থে পটের দু-প্রান্ত আড়াআড়িভাবে কোনো কঞ্চির সাথে জোড়ার সময় খানিকটা অংশ কাপড় যুক্ত করা হয়, যাতে কাঠি নাড়াচাড়া করার সময় কাগজের পটের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উল্লেখ্য যে, আড়াআড়ি পটের বেলাতেও ঐ একই পদ্ধতিতে দু-দিকে কঞ্চির কাঠি জুড়ে দেওয়ার নিয়ম।
জড়ানো পট সাধারণত চওড়ায় হয় এক থেকে দেড় হাত এবং লম্বায় প্রায় চার হাত থেকে দশ-বারো হাত।পটের দৈঘ্য বৃদ্ধি হবার জন্য পট দেখানোর সুবিধার্থে পটের দু-প্রান্ত আড়াআড়িভাবে কোনো কঞ্চির সাথে জোড়ার সময় খানিকটা অংশ কাপড় যুক্ত করা হয়, যাতে কাঠি নাড়াচাড়া করার সময় কাগজের পটের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উল্লেখ্য যে, আড়াআড়ি পটের বেলাতেও ঐ একই পদ্ধতিতে দু-দিকে কঞ্চির কাঠি জুড়ে দেওয়ার নিয়ম।
পটুয়ারা যখন পট দেখান তখন এক হাতে ধরে থাকা কাঠি-গান সহযোগে বর্ণনার সঙ্গে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে জড়িয়ে নিতে থাকেন এবং সেই সঙ্গে অন্য হাতে কাঠিতে ধরা পটের জড়ানো অংশ ধীরে ধীরে খুলে যেতে থাকে।সঙ্গীত-এর মাধ্যমে পটের এই কাহিনী ধীরে ধীরে একটা খোপ অনুযায়ী বর্ণনা করা হয়।
জড়ানো পটের বিষয়বস্তু-----
জড়ানো পটের বিষয়বস্তু র মধ্যে আছে রামায়ণ-মহাভারত, কৃষ্ণলীলা, মনষা-চন্ডীমঙ্গল আখ্যান নিয়ে চিত্রিত নানা পট।
জড়ানো পটের বিষয়বস্তু র মধ্যে আছে রামায়ণ-মহাভারত, কৃষ্ণলীলা, মনষা-চন্ডীমঙ্গল আখ্যান নিয়ে চিত্রিত নানা পট।
চৌকো পট--
জড়ানো পটের মতোই আর একটি পট হল চৌকো পট।যেটি আকারে বর্গাকার বা সামান্য আয়তাকার। বীরভূম জেলার চৌকো আকারের পট গুলিকে বলে চৌকোশ পট। বীরভূম জেলার আয়াসপুর ও আহমেদপুর গ্রাম থেকে একদা যথাক্রমে মটরু ও অক্ষয় চিত্রকরের আঁকা এমন ধরনের চোকৌ পট সংগ্রহ করেছিলেন গুরুসদয় দত্ত।এই সমস্ত লুপ্ত প্রায় পটগুলি বর্তমানে কলকাতার ঠাকুর-পুকুরের গুরুসদয় মিউজিয়ামে সংরক্ষিত।
জড়ানো পটের মতোই আর একটি পট হল চৌকো পট।যেটি আকারে বর্গাকার বা সামান্য আয়তাকার। বীরভূম জেলার চৌকো আকারের পট গুলিকে বলে চৌকোশ পট। বীরভূম জেলার আয়াসপুর ও আহমেদপুর গ্রাম থেকে একদা যথাক্রমে মটরু ও অক্ষয় চিত্রকরের আঁকা এমন ধরনের চোকৌ পট সংগ্রহ করেছিলেন গুরুসদয় দত্ত।এই সমস্ত লুপ্ত প্রায় পটগুলি বর্তমানে কলকাতার ঠাকুর-পুকুরের গুরুসদয় মিউজিয়ামে সংরক্ষিত।
চৌকো পটের অঙ্কন শৈলী---
প্রখ্যাত লোকসংস্কৃতিবিদ সুধাংশুকুমার রায় বলেছেন, দেখলে মনে হবে এসব যেন দেবশিল্পীদের অঙ্কিত। ইন্ডিয়ান রোডের জমির উপর নীল সবুজের কাজ ই হল প্রান। মাঝে মাঝে সাদা রঙের কাজ নীল-সবুজের আনুপাতিক মূল্য বাড়িয়েছে বহূগুন।
প্রখ্যাত লোকসংস্কৃতিবিদ সুধাংশুকুমার রায় বলেছেন, দেখলে মনে হবে এসব যেন দেবশিল্পীদের অঙ্কিত। ইন্ডিয়ান রোডের জমির উপর নীল সবুজের কাজ ই হল প্রান। মাঝে মাঝে সাদা রঙের কাজ নীল-সবুজের আনুপাতিক মূল্য বাড়িয়েছে বহূগুন।
মেদিনীপুর জেলার চিত্রকর-পটুয়া রাও চৌকো আকারে পট তৈরি করে থাকেন। তাদের করা এই সব চৌকো পটের মধ্যে হল যদু পট বা পরলৌকিক পট বা চক্ষুদান পট।এই পট গুলি সব থেকে বেশি প্রচলিত ছিল ভূমিজ ও সাঁওতাল সমাজের মধ্যে।
Comments
Post a Comment