লুপ্ত প্রায় পট সমূহ
তৎকালীন সামাজিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে জড়ানো ও চৌকো পটের আঙ্গিকের ভিত্তিতেই কতগুলো পটের ধারার সৃষ্টি হয়েছিল। যেহেতু সামাজিক পরিস্থিতি র উপরে এই পট তাই ধীরে ধীরে সমাজ বদলের কারনে পটের বিষয়বস্তুতেও পরিবর্তন এসেছে। তাই আগে যে সমাজ ছিল তার উপর নির্ভর করেই এই সমস্ত লুপ্ত প্রায় পট গুলি চিত্রিত হত।
এই লুপ্ত প্রায় পট গুলি হল--
(জড়ানো পট)
1)রূপকথাশ্রয়ী পট-
2)ইতিহাসশ্রয়ী পট--ঐতিহাসিক ও সামাজিক ঘটনাবলী নিয়ে বেশ কিছু পট রচিত হয়েছিল। এই ধরনের পটকে ইতিহাসশ্রয়ী পট বলা হয়। এই পটের মধ্যে উল্লেখ হল সাহেব পট, যা সেই সময়ে চুয়াড় বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল এবং ঐ পটের মধ্যে দেখানো হয়েছিল কিভাবে শাসক ইংরেজরা নৃশংসভাবে প্রজাবিদ্রোহ দমন করেছিলেন গাছের ডালে বিদ্রোহীদের ঝুলিয়ে দিয়ে-তার কাহিনী।
3)সামাজিক পট--
সামাজিক ঘটনাবলী বা দুর্ঘটনা নিয়ে পটুয়া রা যে পট এঁকেছিলেন তার মধ্যে ছিল তারকেশ্বরের মোহান্ত-এলাকেশী ও কাকদ্বীপের জাহাজ ডুবিরভেরি ঘটনা।এছাড়া দুর্ভিক্ষের ঘটনা,পণপ্রথার বলি, স্বাধীনতার পটিগান ইত্যাদি।
সামাজিক ঘটনাবলী বা দুর্ঘটনা নিয়ে পটুয়া রা যে পট এঁকেছিলেন তার মধ্যে ছিল তারকেশ্বরের মোহান্ত-এলাকেশী ও কাকদ্বীপের জাহাজ ডুবিরভেরি ঘটনা।এছাড়া দুর্ভিক্ষের ঘটনা,পণপ্রথার বলি, স্বাধীনতার পটিগান ইত্যাদি।
(চৌকো পট)
চক্ষুদান পট--
এই পটের ব্যাবহারিক দিকটিও বেশ কৌতুকাবহ। আদিবাসী ও ভূমিজ সম্পদায়ে কারুর মৃত্যু হলে পটুয়ারা মৃত ব্যক্তির একটি অবয়ব আঁকতেন,যার মধ্যে চোখ আঁকাটা বাকি থেকে যেত। ঐ পটকে পটুয়ারা মৃতের পরিবারকে দেখাতেন এবং বলতেন যে স্বর্গে ঐ মৃত ব্যক্তি চোখের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। পরলোকগত ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা উপযুক্ত দক্ষিনা দিলে সাথে সাথে পটুয়ারা মৃত ব্যক্তির চোখটা এঁকে দিতেন। এটাই হল চক্ষুদান পটের বৈশিষ্ট্য।
এই পটের ব্যাবহারিক দিকটিও বেশ কৌতুকাবহ। আদিবাসী ও ভূমিজ সম্পদায়ে কারুর মৃত্যু হলে পটুয়ারা মৃত ব্যক্তির একটি অবয়ব আঁকতেন,যার মধ্যে চোখ আঁকাটা বাকি থেকে যেত। ঐ পটকে পটুয়ারা মৃতের পরিবারকে দেখাতেন এবং বলতেন যে স্বর্গে ঐ মৃত ব্যক্তি চোখের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। পরলোকগত ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা উপযুক্ত দক্ষিনা দিলে সাথে সাথে পটুয়ারা মৃত ব্যক্তির চোখটা এঁকে দিতেন। এটাই হল চক্ষুদান পটের বৈশিষ্ট্য।
Comments
Post a Comment