মূল্যায়ন
বর্তমানে লোকচিত্রের ঘরানার পট চিত্র আঙ্গিক প্রায় লুপ্ত প্রায়। কারন এখন ট্রাডিশনাল পটের ই বরং চাহিদা বেচে পড়তে আছে। এই ট্রাডিশনাল পট যারা আঁকেন তারা প্রত্যেকেই মোটামুটি ভাবে দক্ষ অঙ্কন শিল্পী। তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রপ্ত । এরাই বর্তমানে বিভিন্ন হস্তশিল্প মেলায় পট দেখিয়ে গান গেয়ে পেট চালায়।
তাছাড়া বর্তমানে পট চিত্রের আঙ্গিক টার চাহিদা আছে।কিন্তু পট বলতে যা বোঝায় যায় তা মানুষ চায় না। মধ্যাকথা হল মানুষ এখন পটকে অন্য আঙ্গিকে এবং অন্য ভাবধারায় দেখতে চান। আর এই অন্য ভাবধারা হল গৃহ সাজানোর জন্য মাটির সড়ায়, কুলোতে যামিনী রায়ের আঁকায় পট। মেয়েদের শাড়িতে,কুর্তিতে,স্ক্যাফ-এ, ওড়নায় আবার ছেলেদের কুর্তাতে ও এই পটের ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়া মাদুর শিল্পে, মূর্তি তৈরির ক্ষেত্রে এই আঙ্গিক দেখা যায়।
কিন্তু যে সব পটুয়া রা বংশপরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন, বলা বাহুল্য তারা এখন বেশীভাগ আর কেউ ই এই কাজের সাথে যুক্ত নন। কারন তাদের আঁকা পটের চাহিদা বাজাড়ে কমেছে। তাই তারা এখন পেট চালানোর দায়ে অন্যান্য কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন।
তাই লোকচিত্রের ঘরানা এই পট চিত্র শুধুমাত্র অতীতের ইতিহাসের পাতা।
Comments
Post a Comment